ডেস্কঃ জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সিনেট। যদিও দেশটির নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু এরই মধ্যে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে দেশটির পার্লামেন্টে একটি রেজুলেশন পাস হয়েছে। খবর ডনের
শুক্রবার পাস হওয়া ওই রেজুলেশনে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার কথা বলা হয়েছে। আবহওয়া ও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার রেজুলেশন পাস করা হয়েছে। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী মর্তুজা সলঙ্গী এবং পাকিস্তানের মুসলিম লীগ-এন এর সিনেটর আফনান উল্লাহ খান এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করেছিলেন। তবে মাত্র ১৪ জন আইনপ্রণেতার উপস্থিতি এই রেজুলেশন পাস হয়। তবে পাকিস্তানে সংসদের উচ্চকক্ষে ১০০ জন সদস্য রয়েছে। তবে সিনেট প্রস্তাবটি গ্রহণ করলেও দেশটির নির্বাচন কমিশনের সেটি মানার বাধ্যবাধকতা নেই। সেক্ষেত্রে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারিই নির্বাচন হবে, না আরও বিলম্বিত হবে সেটি ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের একজন স্বতন্ত্র সিনেটর মূলত নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব তুলেছিলেন। স্বতন্ত্র সিনেটর দিলাওয়ার খান বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তার হুমকি রয়েছে। বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়ায় এবং রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।’
রেজল্যুশনে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নির্বাচনি সমাবেশের জন্য নিরাপত্তা নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। তবে পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সিনেটর আফনানুল্লাহ খান এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন।
বাংলাদেশ সংবাদ বুলেটিন-ইসমাইল হোসেন, 01758-961864
আপনার মতামত লিখুন :