তুরস্কে গত রবিবার অনুষ্ঠিত হয় শত বছরের সবচেয়ে গুরুত্ব নির্বাচন। এতে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান, কামাল কিলিচদারোগলু ও সিনান ওগান। তাদের মধ্যে কোনও প্রার্থীই এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯.৪ শতাংশ ভোট। তার প্রধান কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৩.১২ শতাংশ আর সিনান ওগান পেয়েছেন ৫.২ শতাংশ ভোট। ফলে আগামী ২৮ মে (রাউন্ড অফ) দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হবে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে। সে হিসেবে পরবর্তী রাউডে ছিটকে পড়েছেন সিনান ওগান। প্রতিযোগিতা হবে এরদোয়ান আর কিলিচদারোগলুর মাঝে। এখন ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৮ মে পর্যন্ত। দেশটির গত একশ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াচ্ছে।
এদিকে আঙ্কারায় নিজের সমর্থকদের উদ্দেশে এরদোয়ান বলেন, জনগণ যদি দ্বিতীয় দফার কথা বলে তবে আমরা তাতে অংশ নিব এবং জয়ী হব। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার শপথ নিয়েছেন কামাল কিলিচদারোগলুও। তিনি বলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মানুষের আস্থা ভোট অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন।
এদিকে দেশটির পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়েছে এরদোয়ানের দল একে পার্টি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্স। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন পার্লামেন্টের ৬০০ এমপি নির্বাচনেও ভোটগ্রহণ হয়েছে। এরদোয়ানের দল একে পার্টি নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৩২৩টি আসন। এর মধ্যে একে পার্টি একাই ২৬৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স জয়ী হয়েছে ২১১ আসনে।
আপনার মতামত লিখুন :