দেশের অন্যতম বড় কাপড়ের মার্কেট ঢাকার বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনে হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতির ধারণা করছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
এ ক্ষতি পোষাতে সরকারের তরফ থেকে প্রাথমিকভাবে ৭০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যবসায়ীরা সব পুঁজি হারিয়েছেন। তাদের টাকা না দিলে ব্যবসায় ফিরিয়ে আনা যাবে না। এখানে কেয়ামতের মতো অবস্থা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের চোখে এখন কান্না।’’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন বঙ্গবাজার কয়েকটি ইউনিটে বিভক্ত। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, গুলিস্তান ইউনিট, মহানগর ইউনিট ও আদর্শ ইউনিট মিলিয়ে মোট দোকানের সংখ্যা ২ হাজার ৩৭০টি। আশপাশের বিপণিবিতান মিলিয়ে ৫ হাজারের মতো দোকান ভস্মীভূত হয়েছে বলে ধারণা দিয়েছেন হেলাল উদ্দিন।
বঙ্গবাজারের ক্ষতির বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাজারটি পুরোটাই কাঁচা মার্কেট। এ কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। বঙ্গবাজার পাকা করতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখিন হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা মনে করি, ঢাকা শহরে কোনো কাঁচা মার্কেট থাকা উচিত না।”
সারা দেশের জিনস, ট্রাউজার, টি-শার্ট ও মেয়েদের পোশাকের পাইকারি মার্কেট এই বঙ্গবাজার। ঈদের বাজারে ব্যবসায়ীরা পুরোদমে দোকান ও গোডাউনে পণ্য তোলেন। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ আগের রাতেও মালামাল তোলার কথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে দেশের অন্যতম বড় কাপড়ের মার্কেট বঙ্গবাজারে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস মিনিট দুইয়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেও বাতাসের মধ্যে ঘিঞ্জি ওই মার্কেটের আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের চেষ্টায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততোক্ষণে কাঠ ও টিন দিয়ে তৈরি তিন তলা বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট পুরোপুরি ভষ্মীভূত হয়ে যায়।
আগুনে ক্ষতি নিরূপণ করে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের ক্ষতি নির্ধারণ করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।”