ইসমাইল হোসেন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জ ইকোনোমিক জোনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
গতকাল (২৩ মে ২০২৩ইং) রোববার সন্ধ্যায় ইকোনোমিক জোনের অফিস কার্যালয়ে ঘন্টাব্যাপী চা-চক্র আলোচনা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ম্যাজিস্ট্রেট, উকিল, ডাক্তার, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, স্বেচ্চাসেবী, শিক্ষিত তরুণ, নবীন উদ্যোক্তা, ফেসবুক আইকনের পরিচিত মুখগুলো অংশগ্রহন করেন।
উল্লেখ্য, যমুনা নদীর কোলঘেষে সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সেতুর অদুরে পশ্চিমপাড়ে একহাজার ৮১ একর অনাবাদী জমির উপর গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক উন্নত প্রযুক্তির সুযোগ সুবিধা সম্বলিত দেশের প্রথম সবুজ অর্থনৈতিক অঞ্চল যা উত্তরবঙ্গের প্রবেশদার সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ১০নং সয়দাবাদ ইউনিয়নে তিনটি মৌজা খাসবড়শিমুল, পঞ্চসোনা, চকবয়রা এবং বেলকুচি উপজেলার বেলছুটি ও বড়বেরা খারুয়া বাংলাদেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ ইকোনোমিক জোন অবস্থিত। নির্মাণাধীন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভুমি উন্নয়নের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে পুরো প্রকল্পটি সবুজায়ন করতে মোট জমির ৬০ শতাংশ কারখানার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বাদবাকী খেলার মাঠ, বিনোদন পার্ক, হাসপাতাল, কারিগরি প্রতিষ্ঠান সহ উন্নত প্রযু্ুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নানা অবকাঠামো গড়ে তোলার স্বপ্ন একেছেন স্বপ্নবাজ শেখ মনোয়ার হোসেন। এতে পাঁচ লক্ষ লোকেরও অধিক কর্মসংস্থান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ ইকোনোমিক জোনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন স্বেচ্চাসেবী তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরাই আগামীদিনে সিরাজগঞ্জ লিড দেবে আমার যে স্বপ্ন সেটাও যেমন তোমাদের জানা দরকার আমিও জানতে চাই তোমাদের চিন্তাধারা নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন। তোমাদের কোন ধরণের সাপোর্ট দিলে উদ্যোক্তা হতে সহায়ক হবে। এসময় স্বেচ্ছাসেবী টুক্কু মুক্তার বলেন, ২৪ ঘন্টা শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুপার মার্কেট চাই যেখানে দেশিয় উৎপাদিত পণ্য শাড়ী, লুঙ্গি, গামছা বিক্রি হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসবে খুচরা ও পাইকারী কাপড় ক্রেতা বিক্রেতারা।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি মনেকরি পাঁচলক্ষ লোক নয় নদী কেন্দ্রীক ইকোনোমিক জোন গড়ে উঠেছে চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে এটা সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে ২০ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান সম্ভব। যেখানে সারাদেশের মানুষ সচারাচর অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বি হবে সারাদেশ উন্নত হবে। সেই সঙ্গে নদী কে যেন নারীর সম্মান দেওয়া হয় তার প্রতি যেন অন্যায় না করা হয়। বুড়িগঙ্গার মত তুরাগের মত যমুনা যেন ধুসর বর্ণের না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন। এ সময় সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেত্ববৃন্দ বক্তব্য দেন।
আপনার মতামত লিখুন :